জীবনে অসম্ভব বলে যে কিছু নেই তারই চাক্ষুসপ্রমাণ দিলেন জেসিকা কক্স। জন্মেছিলেন দুই হাত ছাড়াই, কিন্তু হাতের কমতি তাকে কখনই তার সাফল্য থেকে দূরে রাখতে পারেনি।
তিনিই হয়তো পৃথিবীর মধ্যে একজন; যিনি পা দিয়ে বিমান চালাতে পারদর্শী। শুধু বিমান চালাতেই নয় বরং কি-বোর্ড টাইপিং, পিয়ানো বাজানো, সাঁতার কাটা, ফোন ব্যবহার সবই পারেন তিনি।
মাত্র ৩ বছর বয়স থেকে জেসিকা নাচ ও শরীরচর্চা করা শুরু করেন। ৫ বছর বয়সে সাঁতার কাটতে শেখেন তিনি।

১০ বছর বয়স থেকে তায়োকান্দোও শিখতে শুরু করেন। ছোট থেকেই তিনি নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেছেন। জীবনে কোনো কাজেই থেমে যাননি জেসিকা।
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম আর্মলেস লাইসেন্সধারী পাইলট হন এই মার্কিন নারী। তিনি গিনেস বুকেও নাম লিখিয়েছেন তার এই প্রতিভার জন্য। এরপর টানা ৩ বছর জেসিকা মোট ৮০ ঘণ্টা বিমান চালিয়েছেন।
শুধু বিমান নয়, গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে রান্না এমনকি ঘরও গুছিয়ে নেন জেসিকা। স্বামী প্যাট্রিকও ঘরের কাজে নিরলস সহায়তা করেন।

স্বামী প্যাট্রিকের সঙ্গে ২০১০ সালে প্রেম হয় জেসিকার। এর দুই বছর পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকের মনে একসময় ভালোবাসা জেগে ওঠে। এরপরই তারা বিয়ে করেন।
জেসিকা পা দিয়েই মন ভোলানো সুর তোলেন পিয়ানোতে। গানও গাইতে পারেন তিনি। জেসিকা ও প্যাট্রিক অবসর পেলেই বিশ্ব ভ্রমণে বের হন। পাশাপাশি তারা বিকলাঙ্গ মানুষদের কাউন্সিলিং করান।

জেসিকা ৩৫ বছর বয়সে তিনি হয়ে উঠেন একজন পরিপূর্ণ যুদ্ধ বিমানচালক।