নওগাঁয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

তাহানুল মারুফ
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩

Share Now

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফাসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজকোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক আবু শামীম আজাদ নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নওগাঁ কোর্ট ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নান মেল্লাকে হত্যার জন্য গুরুতর জখম করার ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন তোফাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিনে ছিলেন আসামিরা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা মোটরসাইকেলযোগে ইউনিয়নের সমসপাড়া বাজারে দলীয় অফিসে যাচ্ছিলেন। পথে ভাঙ্গা-জাঙ্গাল বাজারে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তার বাম পা ভেঙে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে রেখে চলে যায় তারা। সংবাদ পেয়ে আব্দুল মান্নান মোল্লার বড় ভাই চাঁন মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে আব্দুল মান্নানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর দিন চাঁন মোল্লা বাদী হয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।

ঘটনার পর তোফাজ্জল হোসেন তোফাসহ ১৮ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তোফাজ্জল হোসেনসহ ৯ জন আসামি মঙ্গলবার নওগাঁ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হয়ে আবারো জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী চাঁন মোল্লা বলেন, আমার ছোট ভাইকে হত্যার জন্য অন্যায়ভাবে জখম করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

রাষ্ট্রেপক্ষের বিশেষ কৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত তাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা দায়রা ও জজ কোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল। আর এ সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করবে না। আসামিরা এদিন স্বশরীরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। বিচারক কাগজপত্র দেখার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।