আজ পবিত্র শবেকদর

মোঃ আশিকুর রহমান
এপ্রিল ১৮, ২০২৩

Share Now

আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর।

হাদিস অনুযায়ী, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত।

ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এ রাতে মহানবি হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর উম্মাতদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। মহাপবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুসারে আল্লাহ এই রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মুসলমানদের কাছে শবেকদর এমন মহিমান্বিত বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এ জন্য যে, এ রজনীতে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ ‘আল-কুরআন’ অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন- ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কী জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ (সুরা আল-কদর)।

এ রাতে জিকির-আসকার, ইবাদত-বন্দেগি ও কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনা করে থাকেন।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের সব মসজিদে দিন ও রাতব্যাপী বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি, ধর্মীয় বয়ান ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মধ্যে সমাগত। মহিমান্বিত এই রজনীতে আমি মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’

লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘সব প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’