চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এছাড়াও আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর তা ৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) প্রকাশ করা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২২ (এডিও) এ তথ্য জানানো হয়। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। এডিও তুলে ধরেন সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিষ্ট চুন চান হোং। বিফ্রিং পরিচালনা করেন এডিবির বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দবার।
এডিমন গিন্টিং বলেন, ‘বাংলাদেশ মধ্য আয়ের ফাঁদ এবং ঋণের ফাঁদে পরার সম্ভাবনা নেই। তবে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ঋণ ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়াতে শুধু ভ্যাট নির্ভর হয়ে থাকলে চলবে না। কর জাল বাড়াতে হবে।’
এডিবি প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াবে। গেল ২০২০-২১ অর্থবছরে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
এডিবি ওই প্রতিবেদনে অনুমানকৃত প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বিশ্ব-অর্থনীতি যে চাপের মধ্যে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ আমদানি ব্যয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে তার ওপর প্রবৃদ্ধি কতটা অর্জিত হবে তা নির্ভর করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ভোগ-ব্যয় বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় অংকের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের পরও ডলারের বিপরীতে টাকাকে দুর্বল করতে পারে।