ডলার সংকটে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে বিলম্ব

তাহানুল মারুফ
জানুয়ারি ২২, ২০২৩

Share Now

ডলারে পণ্যের দাম পরিশোধ করতে না পারায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেও অন্তত তিনটি জাহাজে করে আনা পণ্য খালাস করতে পারছে না আমদানিকারকরা। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজারে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

আমদানিকারকরা ঋণপত্রের অর্থ পরিশোধ ও ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। তবে আমদানিকারকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে যথারীতি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রমজানের কয়েকমাস আগে থেকেই ভোগ্যপণ্যের আমদানি শুরু হয় দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এ বছর ডলার সংকটে এলসি খুলেও বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

এলসির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকে পণ্যের দাম পরিশোধ করতে না পারায় বন্দরে এসেও পণ্য খালাস করতে পারছে না অন্তত তিনটি জাহাজ। এসব জাহাজে রয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার মূল্যের চিনি ও ভোজ্যতেল।
বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, ভোগ্যপণ্যের আমদানি নিয়ে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সেটি কার্যকরে খুব বেশি পদক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিয়েও সমাধান মিলছে না।

তিনি বলেন, আমদানিকারকরা নিয়মানুযায়ী ঋণপত্র খুললেও ডলারের অভাবে ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারককে সেসব অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। তাই বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিচ্ছে না রপ্তানিকারক। এতে জাহাজ ভাড়া বাবদ আমদানিকারকে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে ১৬ থেকে ৪০ হাজার ডলারের মতো জরিমানা।

এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে এলসি সংক্রান্ত জটিলতার দ্রুত নিরসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছে সরকার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও আলোচনা হয়েছে।

ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সুস্পষ্ট উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন ভোগ্যপণ্যে আমদানিকারকরা।