শরীরের ভেতর জমে থাকা দূষিত উপাদান বের করে দেওয়ার জন্য অনেকেই নিয়মিত ডিটক্স পানি পান করেন। দেহের টক্সিন দূর করতে ডিটক্স পানি বেশ উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই ডিটক্স পানি পান করেন।
ডিটক্স পানি হিসেবে অনেকেই আদা পানি, জিরা পানি, দারুচিনিসহ গরম পানি, হলুদ-আদাসহ গরম পানি, আদা-গোলমরিচসহ গরম পানি, আপেল সিডার ভিনেগার পান করেন। তবে এগুলো ছাড়াও অনেকেই আবার ডিটক্স পানি তৈরি করতে বেশ খরচ করে ফেলেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নরমাল পানি সবচেয়ে ভালো টক্সিন দূর করে। পানি দেহকে সব সময় ডিটক্সিফাইড করে, তবে খালি পেটে পানি খুব সহজে টক্সিন দূর করে।
অনেকেই শুধু পানি পান করতে অনীহা প্রকাশ করেন। তাই তাদের সারা দিনে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত পানি খাওয়া হয় না। এ রকমের সমস্যায় তারা বিভিন্ন ফলের পানি খেতে পারেন।
যাদের নরমাল পানি খেতে সমস্যা হয় তাদের জন্য-
- আপেল, কমলা, তরমুজ, আঙ্গুর বা অন্যান্য ফলের তৈরি ডিটক্স পানি
- লেবু+মধু ডিটক্স পানি (যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে)
- লেবুর ডিটক্স পানি
- কালোজিরা ডিটক্স পানি
- মেথি ডিটক্স পানি
- পুদিনা পাতা, ধনে পাতার ডিটক্স পানি
- কিসমিস ডিটক্স পানি (যাদের কোলেস্ট্ররল মাত্রা বেশি) পান করা সবচেয়ে উত্তম উপায়।
- পানিতে শসা ব্যবহারসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল ব্যবহার করে পানি পান করবেন। এতে পানি পান করা সহজ হবে এবং পানি পানে কোনো অনিহা থাকবে না। তবে পানিতে ফল ভিজিয়ে রেখে তা পান করতে চাইলে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে পান করতে হবে।
প্রতিদিন এসব ডিটক্স পানি ঘুম থেক উঠে খালি পেটে কিংবা রাতের খাবারের ১ ঘণ্টা পর এবং দিনে ১ থেকে ২ বার পান করা যায়। এর ফলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়বে, রক্তে কোলেস্ট্ররলের মাত্রা কমবে এবং ফলের ডিটক্স পানির মাধ্যমে ভিটামিন-সি গ্রহণ করা হবে। তবে সারারাত পানিতে ফল ভিজিয়ে পান করবেন না। এতে পানিতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমাদের শরীরে পানির কোনো বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ গ্লাস পানি পান করে দেহের বাওল সিস্টেমের উন্নতি করা যায়। অবশ্যই পানি ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুম যাওয়ার পূর্বে এবং বসে পান করতে হবে।