ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধিতে চলছে গণপরিবহন

মোঃ আশিকুর রহমান
জানুয়ারি ১৩, ২০২২

Share Now

নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। পরিস্থিতির লাগাম টানতে ইতোমধ্যেই বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। তবে এখনও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন গণপরিবহনের যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁও, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক, কোথাও নেই তদারকি।

খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় লাভলী, লাব্বাইক, মিডওয়ে পরিবহনসহ ওই রুটে চলাচলকারী প্রতিটি বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। একই অবস্থায় ফার্মগেট, বাংলামটর, ফকিরাপুল, মগবাজার, মৌচাক, যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বেশিরভাগ যাত্রীর মুখেই নেই মাস্ক। এমনকি সরকারি মালিকানাধীন বিআরটিসি বাসেও দেখা গেছে একই চিত্র।

বাসের মতো একই অবস্থা লেগুনাতে। মুখোমুখি বসা যাত্রীদের বেশিরভাগের মুখেই নেই কোনো মাস্ক। করোনার ব্যাপারে যেন উদাসীন তারা।

নগরীর মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে তাদের তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি।

লাব্বাইক পরিবহনের একজন হেল্পার তার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, আমারা যদি এখন অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করি, তবে মানুষের হাতে মার খেতে হবে। কারণ সকালে মানুষ কর্মস্থল বা অফিসে যাওয়ার জন্য বের হন। এ সময় যাত্রীদের খুব চাপ থাকে। সরকার যাত্রীদের চলাচলে বিকল্প ব্যবস্থা না করে আমাদের পরিবহনের ওপর চাপিয়ে দিলে অবস্থা ভালো হবে না। সরকার যদি পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা শুধু অর্ধেক না এর কম যাত্রী নিয়েও বাস চালাতে পারতাম।

একই সুরে কথা বললেন যাত্রীরাও। রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন সুমাইয়া ইসলাম। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এটা ভালো। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমাদের পরিবহন সংকটে পড়তে হবে। অফিসে তো যাওয়া লাগবেই। বাধ্য হয়েই গাদাগাদি করে আজ পরিবহনে উঠেছি। শনিবার কী হবে বুঝতে পারছি না।