তিন বছর ধরে আটকে আছে ‘শনিবার বিকেল’ নির্মাতার আক্ষেপ

জহুরুল হক
আগস্ট ৭, ২০২২

Share Now

তিন বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্রটি। কেন আটকে আছে জানেন না এর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আর ছবিটির ভাগ্যে কী ঘটছে জানেন না সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাও।

ফারুকী বলেন, “আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল! এ রকম কত সকাল যে আমার গেছে। আমি একটা ছবি বানাইছি ‘শনিবার বিকেল’ নামে। যেটা সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বললেন, আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি। তারপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটার দ্বিতীয় শো করে তারা। এবং তারপর বলে দিল, ছবি ব্যান। আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে তিন বছর হলো আপিলের। কোনো উত্তর নাই। এবং আমাদেরও বুঝি কিছু বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি। “

আক্ষেপ করে গুণী এই নির্মাতা বলেন, “আজকে শনিবার বিকেলের ওপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করল আমাকে অ্যালগোরিদম। এটা আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ‘ঠিক আছে’! এমন কিছু বানানো যাবে না যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমি তো চিরকাল সেইসব গল্পই বলে আসছি, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?”

সেন্সর বোর্ডে কেন ছবিটি আটকে আছে এ বিষয়ে জানতে বোর্ডের সদস্য অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি থাকা অবস্থায় এই ছবিটির প্রদর্শনী হয়নি। আমি ঠিক বলতে পারব না। ’

সেন্সর বোর্ডের আরেক সদস্য নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তিনিও জানেন না এই চলচ্চিত্রটি কেন আটকে আছে। সোহান রবিবার দুপুরে বলেন, ‘আমি সেন্সর বোর্ডের সদস্য হয়েছি কিছুদিন। ফলে এই চলচ্চিত্রটির বিষয়ে জানি না। আগামীকাল মিটিং রয়েছে, সেখানে গেলে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারি। ’

সাবেক সদস্য অভিনেত্রী অঞ্জনা থাকা অবস্থায়ও এই ছবির সেন্সর প্রদর্শনীর কথা মনে করতে পারছেন না সাবেক সদস্য অভিনেত্রী অঞ্জনাও। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ছিলাম তখন এটা শো হয়েছে কি না মনে করতে পারছি না। যেহেতু ফারুকীর ছবি সেহেতু প্রদর্শনী হলে মনে থাকত। ’

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের আরেক সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আমরা প্রথম সেন্সর দেখে মতামত দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আমরা জানি না। এটা আপিল বোর্ড জানে। ’