নির্বাচনের আগে অনলাইনে ভিন্ন মত দমন করছে তুরস্ক

মোঃ আশিকুর রহমান
মে ১১, ২০২৩

Share Now

তুরস্কের নতুন ‘ডিইনফরমেশন ল’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এই আইনে সাংবাদিক ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য জেলে যেতে পারেন৷

গত বছর অক্টোবরে পাস হয় তুরস্কের ভুয়া তথ্য আইন বা ডিসইনফরমেশন ল৷ তখন থেকেই এই আইন নির্বাচনকে সামনে রেখে পাস করা হচ্ছে এবং তা বিরোধী মত দমন করতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে সমালোচনা হয়েছিল৷ আগামী রোববার প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন৷ এ অবস্থায় অনেকেই এই আইনের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷

সমালোচকরা শুরু থেকেই বলছেন যে, আইনে ভুয়া তথ্য বলতে কী বোঝানো হচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই৷ এই আইনে সামাজিক মাধ্যমকেও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ চাইলে ব্যবহারকারীর তথ্য দানে বাধ্য করা হয়েছে৷

টুইটার ও মেটা এখন পর্যন্ত তথ্য চাওয়ার আবেদনে সাড়া দেয়নি৷ ফেব্রুয়ারি মাসে তুর্কি পুলিশ ভূমিকম্প নিয়ে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করে৷ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৫০ হাজার মানুষ মারা যান৷

তুরস্কের ফ্রিডম রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের প্রকল্প কর্মকর্তা শাগিন এরোলু বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি৷ কিন্তু সরকারি তথ্যকে প্রশ্ন করা হলে তার ফল ভালো নাও হতে পারে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি ফোনে বলেন, আপনি বলতে পারবেন না যে আমরা আমাদের হিসেব করেছি… আপনাকে সরকারের ভাষ্যের সঙ্গে সুর মেলাতে হবে।

এ সপ্তাহে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে তুর্কি সরকার অনলাইনে ভিন্নমত দমন বাড়িয়েছে৷ সংস্থাটির গবেষক ডেবোরাহ ব্রাউন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে তুরস্কের সরকার সামাজিক মাধ্যম ও স্বাধীন অনলাইন মাধ্যমগুলোর ওপর সেন্সরশিপ বাড়িয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ আরো শক্ত করেছে৷

সরকারের তথ্যের সমালোচনা করায় গত মাসে এমনকি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর কোনো কোনোটিকে জরিমানাও করেছে সরকার৷ বিরোধীপক্ষের একমাত্র মুখপাত্র ফক্সটিভিকে তাদের মাসিক আয়ের ৩ ভাগ ফাইন করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে রিসোর্স সেন্টার অন মিডিয়া ফ্রিডম ইন ইউরোপ৷