পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩২, আহত ১৪৭

তাহানুল মারুফ
জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

Share Now

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশাওয়ার পুলিশ লাইন্সের মসজিদের ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কতৃপক্ষ। এ ঘটনায় ১৪৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন এবং জিও টিভি।

পেশোয়ারের পুলিশ কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, পুরো শহর জুড়ে হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

এদিকে, লেডি রিডিং হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম, বিস্ফোরণে আহত ১৫০ জনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের এখনও চিকিৎসা কেন্দ্রে আনা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগরেই অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাগরিকদের রক্তদানের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা সিকান্দার খানের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মসজিদে যোহরের নামাজের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যেখানে অসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলো। স্থানীয় সময় আনুমানিক ১.৪০ মিনিটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মসজিদ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষত যারা নামাজের সময় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল।

সিকান্দার খান আরও বলেন, এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ছিল কারণ বোমারু মসজিদের অভ্যন্তরীণ প্রাঙ্গণের মধ্যে ছিল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণের সময় মসজিদে কমপক্ষে ২০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল। তিনি আরও জানান আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ ছিল।

সিভিল সেক্রেটারিয়েট অ্যাসোসিয়েশন পেশোয়ারের সভাপতি তাসাভুর ইকবাল বলেছেন, পুলিশ লাইনস এলাকার নিরাপত্তা সর্বদা উচ্চ এবং কেউ তাদের পরিচয় এবং দেহ তল্লাশি ছাড়া প্রবেশ করতে পারে না।

এই ঘটনার নিন্দা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, এই হামলার পেছনে যা রয়েছে সেই সন্ত্রাসী ও তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরমান খান টুইট বার্তায় বলেন, পুলিশ লাইন মসজিদে নামাজের সময় সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।