পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার পাবে, মানুষের এই আত্মবিশ্বাস যেন থাকে

তৌহিদুল ইসলাম
এপ্রিল ১০, ২০২২

Share Now

পুলিশের কাছে গেলে ন্যায়বিচার পাবে— মানুষের এই আত্মবিশ্বাসটা সবসময় যেন থাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পুলিশ জনগণের সেবক হবে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে। পুলিশের কাছে গেলে ন্যায়বিচার পাবে বা একটা ন্যায্যতা পাবে— এই আত্মবিশ্বাসটা যেন মানুষের মধ্যে সবসময় থাকে। পুলিশকে সেই সেবাই দিয়ে যেতে হবে।

রোববার (১০ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে ‘দেশের ৬৫৯টি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় স্থাপিত সার্ভিস ডেস্কের উদ্বোধন এবং গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজারবাগের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো বাহিনী ও ব্যক্তির জীবনে সফলতা তখনই আসে, যখন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসাটা অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশে পুলিশ যাতে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে, এটাই আমরা চাই।

নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় স্থাপিত পুলিশের সার্ভিস ডেস্কের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের নারী সমাজ, শিশু বা বয়স্করা, তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হলে বলতে পারে না। নারীদের ব্যাপারে তো এটা আরও বেশি। তাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার সুযোগটা আপনারা করে দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমাজটাকে উন্নত করতে চাই। পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর, তৃণমূল পর্যায়ে পড়ে থাকে বা যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের অবাঞ্ছিত মনে করে, শত নির্যাতনের মুখেও প্রতিকার চাইতে পারে না, সেই মানুষগুলোর মধ্যে আস্থা-বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চাই। নাগরিক অধিকার রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করা এবং তাদের সহযোগিতা করতে চাই।

সেবাপ্রার্থীদের আইনগত সহায়তা করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকারের উন্নয়নের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান। বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে উন্নয়নটা তৃণমূল থেকেই শুরু করেছি। শুধুমাত্র রাজধানী কিংবা শহরভিত্তিক নয়, সর্বস্তরের মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়াটা পায়, সেটা লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। প্রথমবার সরকারে এসে বলেছিলাম, কোনো কুঁড়েঘর থাকবে না, আমরা একটা টিনের ঘর হলেও দেব। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে সেমিপাকা ঘর দিচ্ছি এবং উন্নতমানের জীবনযাপন যেন করতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।