প্রতিশোধ হিসেবে কানাডার কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করল চীন

মোঃ আশিকুর রহমান
মে ১০, ২০২৩

Share Now

কানাডার এক সংসদ সদস্য ও তার পরিবারকে ভয় দেখানোর অভিযোগে সোমবার চীনা কূটনীতিক ঝাও ওয়াইকে বহিষ্কার করেছিল কানাডা। এর প্রতিশোধ হিসেবে মঙ্গলবার সাংহাইয়ের কানাডীয় কনস্যুলেটে কর্মরত এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে চীন।

কানাডার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল পত্রিকার গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার সংসদ মাইকেল চং ও তার পরিবারকে হংকংয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল। চীনা কূটনীতিক ঝাও এই কাজে জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উইঘর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে চীনের সমালোচনা করে কানাডার সংসদে আনিত এক প্রস্তাবে সই করেছিলেন মাইকেল চং। ২০২১ সালের এক গোপন নথির সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল। এই প্রতিবেদনের পর চীনা কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা।

এ প্রসঙ্গে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেন, আমি স্পষ্ট বলেছি : আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করব না। কানাডায় কর্মরত কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে যে, তারা যদি এই ধরনের আচরণে লিপ্ত হন, তাহলে তাদের দেশে পাঠানো হবে।

তবে বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ এবং একটি অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে।যদি কানাডিয়ান পক্ষ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও স্বেচ্ছাচারীর মতো আচরণ করে তাহলে চীনের দৃঢ় এবং কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

এদিকে অটোয়ার চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র কানাডার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন। কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ‘চীনবিরোধী’ অ্যাজেন্ডায় যুক্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে ২০১৮ সালে কানাডার চীনের হুয়াওয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার প্রতিশোধ হিসেবে চীন দুজন কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছিল। এ ছাড়া চীন ২০১৯ ও ২০২১ সালের কানাডার নির্বাচন প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে।