বগুড়ায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গে আরও ১৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় ছয় ও উপসর্গে ১৩ জন। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ জন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য দিয়েছেন।
করোনায় মৃতরা হলেন- বগুড়া সদরের মাহফুজুর রহমান (৬৯), গৌরী পাল (৭০), রুনা হক (৫২), সুফিয়া খানম (৭০) ও আজিজার রহমান (৫৫) এবং শাজাহানপুরের আবুল কালাম আজাদ (৬৫)। মাহফুজার রহমান ও গৌরী পাল বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে, রুনা হক, আবুল কালাম আজাদ ও সুফিয়া খানম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং আজিজার রহমান টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ (টিএমসি) ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
এ ছাড়া করোনা উপসর্গে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চারজন ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৯ জন মারা গেছেন বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৯৪ জনের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে ১০৬ জনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনায় ৪৯ জন, জিন এক্সপার্ট মেশিনে আটজনের নমুনায় তিনজন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১৭৩ জনের নমুনায় ৪০ জন এবং টিএমসি ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ৩১ জনের নমুনায় ১৪ জনের করোনা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে ৬৩ জন, শাজাহানপুরে ১১ জন, শেরপুরে সাতজন, কাহালু, ধুনট ও গাবতলীতে পাঁচজন করে, শিবগঞ্জে তিনজন, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও দুপচাঁচিয়ায় দু’জন করে এবং নন্দীগ্রামে একজন।
এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১৬৫ জন। সবমিলিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮ হাজার ৫০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১১১ জন। মারা গেছেন ৫৫১ জন। বর্তমানে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন এক হাজার ৮৫৫ জন।