বগুড়ায় দুই হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

তাহানুল মারুফ
নভেম্বর ২৩, ২০২২

Share Now

বগুড়ায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার এই দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

২৪ বছর আগের নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন।

এছাড়া ২৬ বছর আগের মজিবর নামের এক কৃষক হত্যা মামলার রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান।

আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ছয়জন হলেন-আফজাল হোসেন, তার ভাই জাহিদুল ইসলাম ও সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির।

এর মধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক আছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

যাবজ্জীনের পাশাপাশি বিচারক সব আসামিদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, বগুড়ার শিবগঞ্জের বিল হামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংগঠিত হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

মজিবরের মামলায় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন কাহালুর লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে।

এ মামলার বিবরণে বলা হয়, লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৯৯৬ সালের ৮ অগাস্ট কৃষক মজিবরকে মারধরের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলা চলাকালীন মারা যান দুজন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৫ জনকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর তসলিম উদ্দিন নামের একজনকে (৭০) যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

তসলিম উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক। এ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।