বন্যায় নিরাপদ থাকতে যা করবেন

আফরিন মিম
জুন ১৯, ২০২২

Share Now

প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে বন্যা অন্যতম। বর্তমানে সিলেটসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চল বন্যা প্লাবিত। যে কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। আর্থিক অবস্থা যেমনই থাক, এই দুর্গতি কম-বেশি সবার। বন্যা মোকাবিলায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে সবার আগে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকলে পরবর্তীতে সবকিছু সামলে রাখা যাবে। তাই সবার আগে নিরাপদ থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বন্যার সময় নিরাপদ থাকতে যা করবেন-

নিরাপদ স্থান নির্বাচন করুন

বন্যার সময় নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। কারণ বন্যার পানি আরও বাড়তে থাকলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এসময় দুর্যোগ শেল্টার বা পরিচিত কোনো নিরাপদ বাসস্থান থাকলে সেখানে চলে যান। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সাময়িক সংকটগুলো কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। নিজের পাশাপাশি অন্যান্য বন্য কবলিতদেরও সাহায্য করুন।

খাবার সংরক্ষণ করুন

বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকট হতে পারে খাবারের ক্ষেত্রে। বন্যার সময় খাবার সংরক্ষণ করে রাখুন। বেশি কিছু যদি সম্ভব না হয়, অন্তত শুকনা খাবার রাখুন। দুর্যোগের সময়ে এসব খাবার কাজে আসবে। খাবার শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা নাও মিলতে পারে।

বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখুন

বন্যার পানিতে নানা ধরনের জীবাণু মিশে থাকে। তাই এসময় পানি পানে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। পানি ফুটিয়ে খাওয়া কিংবা ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখুন। সম্ভব হলে ফিল্টার ব্যবহার করুন। কোনোভাবেই বিশুদ্ধ না করে পানি পান করবেন না। আপনার ছোট একটি ভুল হতে পারে মারাত্মক কোনো অসুস্থতার কারণ।

শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন

শিশুদের বুদ্ধি বড়দের মতো নয়। ক্ষতিকর জিনিসের প্রভাব তারা বুঝতে পারে না। শিশুরা বন্যার পানি নিয়ে খেলায় মেতে উঠতে পারে। বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা কম নয়। এছাড়াও বন্যার পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এসময় শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। এছাড়াও খেয়াল রাখুন শিশুর খাবারের প্রতি।

পোকা-মাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে

বন্যার সময় সাপসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকা-মাকড় দূর করার ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেসব ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।