বাংলাদেশে আসতে চান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলকিপার

মোঃ আশিকুর রহমান
মে ২১, ২০২৩

Share Now

ফিফার জুন উইন্ডোতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। লিওনেল মেসিদের ঢাকা সফরের আলোচনা অনেকদূর এগোলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ সংকটের কারণে তা ভেস্তে গেছে। এদিকে বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা দল না আসলেও বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অপ্রতিম ভালোবাসার কথা কারোই অজানা নয়। গেল কাতার বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রশংসা কুড়ান বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তাই কলকাতা সফরে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ঢাকায় আসবেন মার্তিনেজ।

কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত মার্তিনেজকে কলকাতায় আনার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। তবে তিনি শুধু কলকাতা নয়; বাংলাদেশেও আসার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। শতদ্রু দত্ত বলেন, ‘সে নিজে থেকেই বাংলাদেশের কথা বলেছে। যেহেতু সে কলকাতা আসছেই তাই আমরাও চাই তার ইচ্ছাপূরণ হোক বাংলাদেশে ঘুরে এসে’।

এর আগে এই শতদ্রু দত্তর উদ্যোগেই কলকাতা ঘুরে গেছেন ফুটবল বিশ্বের দুই অমর চরিত্র পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনা। গত নভেম্বরে ঘুরে গেছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক কাফুও। মার্তিনেজের আসন্ন কলকাতা সফরের সব বন্দোবস্তও করছেন তিনি।

জানা গেছে, আগামী ৩ জুলাই ঢাকায় পা রাখবেন মার্তিনেজ। তবে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কিনা তা জানা যায়নি। এরপর ঢাকা থেকে মার্তিনেজ চলে যাবেন কলকাতায়। ৪ জুলাই যাবেন মোহনবাগান ক্লাবে। সেদিন সন্ধ্যায় তিনি সবুজ মেরুণ ক্লাবে যাবেন। এ ছাড়া একাধিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে তার।

বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যের সফর বেশ ব্যয়বহুল। তাছাড়া এর সঙ্গে বাণিজ্য, ব্যবসায়িক চুক্তিসহ নানা আইনও জড়িত। এ নিয়ে কাজ করছেন শতদ্রু দত্ত, ‘আমার পার্টনাররা ইতোমধ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানির (বসুন্ধরা, বিকাশ) সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমিও বাংলাদেশে আসব শিগগিরই। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে অফিসিয়াল ষোষণা আসবে’।

নিজের ফেসবুক পোস্টে শতদ্রু জানান, বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিশাল সমর্থক সংখ্যা থাকায় তিনি মার্তিনেজকে সেখানে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এমিলিয়ানো মার্তিনেজের মনে বাংলাদেশের জন্য একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সমর্থন অনেক বেশি।’