বাউফলে যুবলীগ নেতাসহ জোড়া খুন, আটক ২

তাহানুল মারুফ
ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩

Share Now

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মারামারিতে দুই ভাই নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সেলিম মুন্সি (৪৫) ও মো. আলাউদ্দিন মুন্সি (৫০)।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতশখালী গ্রামের নাজির মুন্সিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আলাউদ্দিন মুন্সির স্ত্রী ফুলভানু (৪৭) ও তার মেয়ে মার্জিনাকে (৩০) গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। লাশউদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলাউদ্দিনের বাবার নাম আমির হোসেন মুন্সি ও নিহত সেলিম মুন্সির বাবার নাম খোরশেদ মুন্সি। নিহতরা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সেলিম মুন্সির পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে আলাউদ্দিন মুন্সি তার দুই ছেলেকে নিয়ে সেলিম মুন্সির ওপর হামলা চালায়। সেলিম এ সময় আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে সামসুল হক মুন্সির ঘরে ঢোকেন। সেখানে গিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই সেলিমের মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আলাউদ্দিন মুন্সি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে আল আমিন(২৮) ও আল আমিনের গর্ভবতী স্ত্রী মৌসুমি (২২)কে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত সেলিম মুন্সির বড় বোন ফরিদা বেগম(৫০) কান্না বিজরিত কন্ঠে হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে ফাঁসি দাবী করেন।

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ নিহত আলাউদ্দিনের অন্ধ মা বলেন, আমার ভাসুরের ছেলে সেলিম বহু বছর ধরে আমার ছেলেরে জ্বালাইতেছে। আমার ছেলেকে ঘর তুলতে দেয় না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবী করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে র্দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলতেছে।

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) সাদ্দাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত চলমান আছে এবং আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা করতেছি।