বিদ্যুৎ খাতে চুরি-দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করতে হবে : জোনায়েদ সাকি

আফরিন মিম
জুলাই ২৮, ২০২২

Share Now

বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে হারিকেন নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

বুধবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগরের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে আগামী ১০ আগস্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভের ঘোষণা দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে আছে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে একথা সরকার নিজেই বলেছে। কদিন আগেই মহাসমারোহে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অনুষ্ঠান করা হলো। আর এখন সরকারই বলছে হারিকেন জ্বালাও, কুপি জ্বালাও। সরকারের ঘোষণার আগেই লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। সরকার বলছে সুষম লোডশেডিং আর গ্রামে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত। যারা দেশের অর্থনীতি চালান তারাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে পরছেন। ইতোমধ্যে সার কারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের সংকট ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে লুটপাটের ব্যবস্থা করে। দ্রুত সমাধানের কথা বলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলো। ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলার কথা ছিল। এখন ২০২২ সালেও এগুলো চলছে এবং আবারও নবায়ন করা হচ্ছে। তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে গত ১২ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এবং লুট করা হয়েছে। গত ১৩ বছর সরকার ক্ষমতায় আছে, কিন্তু দেশের মজুত থেকে এক ইউনিট গ্যাসও উত্তোলন করতে পারেনি। বরং লুটপাটের সুযোগ তৈরির জন্য পুরো বিদ্যুৎ খাতকে আমদানি নির্ভর করে ফেলা হয়েছে।