বিশ্বকাপ দলের ভাবনায় কারা, জানালেন তামিম

মোঃ আশিকুর রহমান
মে ১৫, ২০২৩

Share Now

রোমাঞ্চে ঘেরা এক ম্যাচে ৫ রানের জয় তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বেশ সংগ্রাম করতে দেখা যায় টাইগারদের। শেষদিকে ২১ বলে ১৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দক্ষ ফিনিশারের অভাবে বড় লক্ষ্য থেকে ছিটকে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এ ম্যাচে জয় পেলেও আবার উঠে এসেছে ম্যাচ ফিনিশারের প্রসঙ্গ। আর সামনেই বেশ কিছু বড় টুর্নামেন্ট থাকার কারণে এ চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। আর আগামী বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিনিশার হিসেবে কাকে দেখা যাবে, নতুন করে এ পুরনো প্রশ্নটাও জেগেছে।

জাতীয় দলে এ মুহূর্তে ফিনিশার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইয়াসির আলী চৌধুরীসহ অনেককেই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তবে তাদের কেউই বিশ্বকাপ দলের দাবি পাকাপোক্ত করতে পারেননি। তাই স্বভাবতই প্রশ্নটা জেগেছে, কে হবেন বিশ্বকাপ দলের মিস্টার ফিনিশার!

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এলো বিষয়টি। জবাবে কিছুটা ঘুরিয়েই উত্তরটা দিতে চাইলেন টাইগারদের নেতা তামিম ইকবাল খান। এমনকি তার প্রতিক্রিয়ায় সবারই সমান সুযোগের ইঙ্গিতও মিললো।

তামিমের ভাষ্যমতে, আসলে এখন যারা আছে, এই দলকে আমি বলতে পারব না যে এটাই বিশ্বকাপের দল হবে। এখানে এক বা দুটি জায়গা আছে, যেটা নিয়ে আমরা এখনও ভাবছি; কে ভালো হতে পারে। এখানে আফিফ আছে; ইয়াসির আছে যে অনেক দুর্ভাগা একটি ম্যাচও খেলতে পারল না। এখানে রিয়াদও আছেন। এখান থেকে যে সেরা পছন্দ হতে পারে, তাকেই আমরা পছন্দ করব। এটা যেই হোক না কেন।

লাল-সবুজের ওয়ানডে কাপ্তান আরও যোগ করেন, অবশ্যই, রিয়াদ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আছে। আফিফের যা আছে, বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের তা নেই। আমি তার ব্যাটিং উপভোগ করি। একই কথা ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এখান থেকে যারা দলের জন্য ভালো হবে, আমরা তাদেরকেই নেব।

এশিয়া কাপের প্রসঙ্গ টেনে এ ওপেনারের মন্তব্য, এটা নিয়ে এত আলোচনা হয়, আমার দিকেও আমি এমন নয় যে আমি ঠিক করে রেখেছি, আমি ওকে নিব না, ওকে নিব। দলের জন্য যে পারফর্ম করবে, সেই দলে থাকবে। এশিয়া কাপ আসলেই বুঝে যাবেন, কারা বিশ্বকাপে যাচ্ছে।

তামিম আরও যোগ করলেন, আমার মনে হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন থেকে আমাদের কমানো দরকার। কারণ, বেশিরভাগ ম্যাচ যেই ১৫টা ছেলে বিশ্বকাপে থাকবে, তাদের দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে ১২ টা ১৫ পর্যন্ত যারা, তাদেরকেও এক ব দুই ম্যাচ খেলানো। সবাইকে সমান ম্যাচ দেওয়া যাবে না। কেউ ৭ বা ৮টা ম্যাচ পাবে, কেউ ৩ ম্যাচ পাবে।