মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী কি যুদ্ধ করেছিলেন ? প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

তৌহিদুল ইসলাম
আগস্ট ৩১, ২০২১

Share Now

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা, জানতে চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আপনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কিনা তা প্রমাণ করতে হবে। আপনি আজকে যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন এই মন্ত্রণালয়ে সৃষ্টি করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি সৃষ্টি করেছিলো। আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের আপনি অপমান করছেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতির সামনে জবাবদিহি করতে হবে।’

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। 

এদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা। অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠ করেন রাজধানীর স্বামীবাগের ইসকনের শ্রীমান তেজো গোবিন্দ দাস ব্রম্মাচারী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তিনি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করছেন, অন্যায় কটূক্তি করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেও বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ একদলীয় একটা শাসনব্যবস্থা। এক ব্যক্তির একটি শাসনব্যবস্থায় তারা বিশ্বাস করে, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।’

আওয়ামী লীগ ‘অসুর শক্তি’ হয়ে দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অমলেন্দ্র দাস অপুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, অর্পনা রায় দাস, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, কামাক্ষা  চন্দ্র দাস, তরুণ দে, জয়দেব রায় ও পার্থ দেব মণ্ডল এবং রামকৃষ্ণ মিশনের কালী কৃষ্ণানন্দা মহারাজ বক্তব্য রাখেন।