মুখোমুখি চীন-তাইওয়ান, সামরিক শক্তিরে কে কাকে টেক্কা দিবে?

মোঃ আশিকুর রহমান
আগস্ট ৪, ২০২২

Share Now

যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তাইওয়ান প্রবেশকে কেন্দ্র করে বেইজিং এবং তাইপের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও চীনা হুমকিকে উপেক্ষা করে এরই মধ্যে তাইওয়ান সফর সম্পন্ন করেছেন পেলোসি।

যদিও ক্ষুব্ধ জিনপিং প্রশাসন ইতোমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী চীন ও তাইওয়ান মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এখন প্রশ্ন উঠেছে- সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

বিভিন্ন প্রতিবেদন মারফৎ জানা গেছে, সামরিক সংঘাতে জড়ালে তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী চীনের সামরিক সক্ষমতার কাছে অতি নগণ্য। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে এশিয়ার পরাশক্তি খ্যাত রাষ্ট্র চীন। নৌবাহিনীর শক্তি থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, বিমান ও সাইবার হামলার সক্ষমতা সব দিক দিয়েই বেইজিংয়ের শক্তি অনেক বেশি।

চীন নিজেদের সামরিক শক্তি অন্যত্র ব্যবহার করে থাকে। যদিও সক্রিয় সৈন্য মোতায়েনের সার্বিক ক্ষমতা দিয়ে বিচার করলে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ভারসাম্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ। আর তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি ৩৬ লাখ। জনসংখ্যার বিচারে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার, ২০২২-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী- সামরিক খাতে চীন বিপুল ব্যয় করে। খুব কম দেশই এতটা খরচ করে বা করতে পারে। চীনের বাৎসরিক প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৩ হাজার কোটি ডলার। সেই তুলনায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট মাত্র এক হাজার ৬৮০ কোটি ডলার।

এছাড়া চীনের সক্রিয় সৈন্যের সংখ্যা ২০ লাখ। আর তাইওয়ানের মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার। ফলে সেনা সদস্যদের সংখ্যার হিসাবেও চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনা চলে না।

চীনের কাছে রয়েছে পাঁচ হাজার ২৫০টি ট্যাঙ্ক। বিপরীতে তাইওয়ানের আছে এক হাজার ১১০টি। ফলে এক্ষেত্রেও তুলনা প্রায় অসম। চীনের কাছে আছে তিন হাজার ২৮৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। আর তাইওয়ানের কাছে রয়েছে মাত্র ৭৪১টি। যদিও তাইওয়ানের ঝুলিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়া চীনের নৌবহর ৭৭৭টি আর তাইওয়ানের মাত্র ১৭৭টি।

ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ২০২১ অনুযায়ী- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৮০ হাজার কোটি ডলার। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। তারা বছরে ২৯ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। যদিও তাইওয়ানের খরচ সেখানে মাত্র এক হাজার তিনশ কোটি ডলার। যদিও তারা সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের থেকে বেশি অর্থ খরচ করে থাকে।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে