রমজানে গোপনে দান-সদকা করার ফজিলত

মোঃ আশিকুর রহমান
এপ্রিল ১০, ২০২৩

Share Now

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে বান্দার আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। দান-সদকা করার ফজিলতও অনেক এ মাসে। বিশেষ করে গোপনে দান করার ফজিলত বেশি।

এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমরা যদি প্রকাশ্য দান কর তাহলে তা ভালো আর যদি গোপনে কর এবং অভাবিকে দাও তাহলে তোমাদের জন্য আরও ভালো।এজন্য আল্লাহ তোমাদের কিছু পাপ মোচন করবেন। (সূরা বাকারা : ২৭০-২৭১)

হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুল সা. ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। তার দানশীলতা অন্য সময়ের থেকে অধিকতর বৃদ্ধি পেত রমজান মাসে, যখন জিবরাইল আ. তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিবরাইল আ. রমজানের প্রতি রাতে আগমন করতেন এবং তারা পরস্পর কুরআন শোনাতেন। আল্লাহর রাসূল সা. তখন কল্যাণবাহী বাতাসের চেয়েও অধিক দানশীল। (মুসলিম-২৩০৮)

আত্মীয়স্বজন যদি গরিব ও অসহায় হয় তাহলে তাদের দান-সদকার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা যেতে পারে। আর এ দান প্রকাশ্যে না করে গোপনে করা উত্তম, কেননা গোপন দানে কখনো নিজের মধ্যে অহংকার তৈরি হয় না।পবিত্র কুরআনে প্রকাশ্য ও গোপনে উভয়ই দান করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু পবিত্র কুরআনে অধিকাংশ জায়গায় গোপনে দান করার কথা বলা হয়েছে।

লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে যারা দান করে তাদের মহান আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন না।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, আর যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে না আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন না। (সূরা নিসা-৩৮)।

প্রকাশ্য দান যেন হয় অন্যদের উৎসাহ প্রদানের জন্য। লোক দেখানোর জন্য যেন না হয়।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, হে বিশ্বাসীরা! দানের কথা প্রচার করে ও কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে নষ্ট করো না। ওই ব্যক্তির মতো যে নিজের সম্পদ অন্যকে প্রদর্শনের জন্য ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না। (সূরা বাকারা-২৬১)