বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় আটজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বগুড়া ছিলিমপুর (শজিমেক হাসপাতাল) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, শুভ, হৃদয় ও অনিক। এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী রেজা, ফুয়াদ, অমিও ও ইমতিয়াজ। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি মেডিকেল কলেজটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ জানান, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এ সময় চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তবে সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।
বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, বুধবার রাতে সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথমে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে।
ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান জানান, বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে।
