সম্পর্ক ভাঙার ৫ লক্ষণ

আফরিন মিম
এপ্রিল ১২, ২০২২

Share Now

প্রেমে তো হুটহাটই পড়া যায়, তাই বলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মতো ধৈর্য কজনের থাকে? যখন প্রেমের শুরু, তখন কেবলই সমস্ত হৃদয়জুড়ে আনন্দের ঢেউ। কিন্তু তা সাময়িক। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। দুজনের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব, মতের অমিল প্রকট হয়ে ওঠে কখনো কখনো। মেনে এবং মানিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতিও থাকে না সব সময়।

একটি সম্পর্ক টিকবে কি না তা আগেভাগে বলে দেওয়া মুশকিল। তবু দিনের শুরুটা দেখে নাকি দিনটি কেমন যাবে তা বলে দেওয়া যায়। সেভাবেই কিছু লক্ষণ দেখে বলে দেওয়া যায় সম্পর্ক কোন দিকে আগাচ্ছে। আপনাদের মধ্যে যদি এই লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তবে হয় ধরে রাখার চেষ্টা করুন নয়তো সরে আসুন-

যত্নের অভাব

প্রেমের শুরুতে যত্ন, ভালোবাসা কোনোটারই অভাব হয় না। কিন্তু সম্পর্ক পুরোনো হতে শুরু করলে সেসব ধীরে ধীরে ফিকে হতে শুরু করে। যদি আপনার প্রতি তার যত্নের অভাব টের পান, যদি পর্যাপ্ত সময় থাকার পরও যোগাযোগ কমতে থাকে তবে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আরেকবার ভাবার সময় হয়েছে। 

সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব না দিলে

কারও কারও আবেগ একটু বেশি থাকে। তারা হয়ে থাকে সংবেদনশীল স্বভাবের। সঙ্গীর সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আবেগী বা সংবেদনশীল কেউ যদি বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হতে থাকে, তবে তা মোটেই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সঙ্গীর সংবেদনশীলতা যদি বিরক্তির কারণ হয় তবে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।

অবদমন করার প্রবণতা

সম্পর্কে কিছু অধিকারবোধ তো অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তা যদি অবদমনের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়, তবে মুশকিল। সম্পর্কে কোনো একজন বা একে অপরকে অবদমন করতে থাকলে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত অন্ধকার। এতে সম্পর্কে একঘেয়েমি, বিরক্তিবোধ আসতে মোটেও সময় লাগবে না।

ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে না নিলে

প্রায় সব সম্পর্কে কিছু না কিছু বোঝাবুঝি হতে পারে। সেসব দুজনের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এটুকুও না থাকলে সেই সম্পর্ক গতিহীন ধরে নিতে হবে। যদি এই সমস্যা বাড়তেই থাকে তবে সতর্ক হোন। কারণ বারবার নিজেকে ব্যাখ্যা করার মতো ধৈর্য থাকে না। ভুল বোঝাবুঝির পাহাড় গড়ে উঠলে তা অতিক্রম করার সাধ্য থাকবে না।

পারষ্পরিক শ্রদ্ধার অভাব

যেকোনো সম্পর্কেই শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। শ্রদ্ধার অভাব হলে সেই সম্পর্ক নষ্ট হতে সময় লাগে না। সম্পর্কে বিরক্তি আসতেই পারে, তবে তা যেন অসম্মানের পর্যায়ে চলে না যায়। অসম্মানের মাত্রা বাড়তে থাকলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।