সরকার হটানোর আন্দোলনে ‘জোটবদ্ধ’ হয়ে রাস্তায় নামার প্রস্তাব

তৌহিদুল ইসলাম
আগস্ট ২৯, ২০২১

Share Now

ডেস্ক প্রবাহ: সরকার হটানোর আন্দোলনে ‘জোটবদ্ধ’ হয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশে একটা দানবীয় শক্তি আমাদের সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। আজকে সত্যিকার অর্থেই যে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে তারা, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

রবিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটির উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রয়াত সাবেক উপাচার্য‌ অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে এই আলোচনা সভা হয়। গত ২০ আগস্ট কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শত নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদার।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরকে যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিতে চাই, তাহলে আমাদের সকলকে জোটবদ্ধ হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের কোনও বিকল্প নেই এখন রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক দল বিএনপি নয় বা শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলো নেমে আসতে হবে, সবাই নেমে আসতে হবে। আজকে যারা এখানে আছেন সুধীজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আছেন, সংবাদসেবীরা আছেন প্রত্যেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ বাদ পড়ছেন না। সুতরাং, সবাইকে নেমে আসতে হবে।’

সদ্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমানের বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও কর্মজীবন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদ মুস্তাহিদুর রহমানকে হারিয়ে শুধু পরিবার নয়, আমরা যারা বন্ধু-সহকর্মী-শুভানুধায়ী শুধু তারা নয়, গোটা জাতির জন্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। খালেদ মুস্তাহিদুর রহমানরা সব সময় জন্মায় না। আজকে এমন এক সময় তিনি চলে গেলেন, যখন তাকে আমাদের দরকার ছিল। আসুন, আমরা তার জন্য দোয়া করি তিনি যেন বেহেসত নসিব হন।’

অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর  সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, এলাহী নেওয়াজ খান, বাকের হোসাইন, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও প্রয়াত খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের ছেলে খন্দকার আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন। 

এসপি/টি