সিলেটে সন্তানের সামনে মাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

তাহানুল মারুফ
মে ৩০, ২০২৩

Share Now

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাটে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সন্তানের সামনে মাকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কানাইঘাট থানার ওসি মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারীপাড়া গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের জুবের আহমদ (২৪)।

ওসি মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, গত রোববার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে; সোমবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিরা জানান, ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণে জড়িত।

এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ভিকটিমের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে। আনুমানিক ২০ দিন আগে গ্রেপ্তার আসামি দুদু মিয়ার সঙ্গে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সঙ্গে ওই নারীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো।

ভিকটিমের ৯ মাসের শিশুকন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে বলেন।

পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রোববার বিকাল ৩টার দিকে দুদু মিয়া ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যান। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে ফুসলিয়ে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা রিকশায় তুলে দেয়া হয়। এরপর পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিকশা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে পুরানফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে তুলে নিয়ে সেখানে হেলাল ও ফরহাদ তাকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের পর তারা পালিয়ে গেলে ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।