সৌদি পৌঁছেছেন ৯৭৮৯ জন হজযাত্রী

মোঃ আশিকুর রহমান
মে ২৫, ২০২৩

Share Now

চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বুধবার (২৪ মে) দিনগত রাতে হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৩২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৬ হাজার ৫৭ জন। গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এবার সবচেয়ে বেশি ১৬২টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার যাত্রী নেবে বিমান বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৫৩টি ফ্লাইটে ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস নেবে ২০ হাজার এবং ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার হজ যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইনস।

এদিকে হজযাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সেগুলো হলো-

হজযাত্রীদের জেদ্দা-মদিনাগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস ও সিকিউরিটি চেক-ইন এবং বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজক্যাম্প আশকোনা ঢাকায় সম্পন্ন হবে। সুতরাং প্রত্যেক হজযাত্রীকে অবশ্যই নির্ধারিত ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে হজক্যাম্প আশকোনা ঢাকায় যাবতীয় ডকুমেন্টসসহ উপস্থিত হতে হবে।

ফিরতি হজ ফ্লাইটের হজযাত্রীকে নির্ধারিত হজ ফ্লাইটের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে জেদ্দা হজ টার্মিনাল-মদিনা এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে।

প্রত্যেক হজযাত্রী ইকোনমি ক্লাসের জন্য সর্বাধিক ২টি ৪৬ কেজি (প্রতি পিস ব্যাগেজের সর্বোচ্চ ওজন ২৫ কেজি) এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন। ইনফ্যান্ট বা ২ বছরের নিচের যাত্রী সর্বোচ্চ ১০ কেজি মালামাল পরিবহনের সুবিধা পাবেন।

গোলাকৃতি-গাঁইট জাতীয় ব্যাগেজ বিমানে পরিবহন করা যাবে না। তাছাড়া পাটের দড়ি দিয়ে বাঁধা ব্যাগ, কাপড়ে মোড়ানো ব্যাগ বহনে সৌদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে আগমনের পর টোকেন প্রদর্শন সাপেক্ষে ৫ লিটার জমজমের পানির ব্যবস্থা করবে। সৌদি কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুযায়ী হজযাত্রীর ব্যাগেজে পানি বহন করার ক্ষেত্রে আইনগত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

হাতব্যাগে কোনো ধরনের ধারালো বস্তু, ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার ও গ্যাস জাতীয় বস্তু, অ্যারোসল এবং ১০০ এমএল-এর বেশি কোনো তরল পদার্থ বহন করা যাবে না এবং কোনো প্রকার খাদ্য সামগ্রী নেওয়া যাবে না।

প্রত্যেক হজযাত্রীকে বহন করা ব্যাগেজের ওপর নাম ও ঠিকানা সংবলিত স্টিকার লাগাতে হবে। যেখানে যাত্রীর নাম, জাতীয়তা, পাসপোর্ট নম্বর, এয়ারলাইনসের নাম ও ফ্লাইট নম্বর ইংরেজিতে উল্লেখ করতে হবে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে হজযাত্রীরা নিজস্ব মালামাল ছাড়া অন্য কারও মালামাল বহন করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।