স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটন শহরে ১৫০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় ওভারটন ব্রিজ। বর্তমানে এই ব্রিজটি ডগ সুইসাইডাল ব্রিজ নামেই পরিচিত বিশ্বজুড়ে।
জানা যায়, ব্রিজটির ডান দিকের এক স্থান থেকেই লাফ দেয় কুকুরগুলো।
ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে কেভিন নামের এক লোক নিজের বাচ্চাকে খ্রিস্টানবিরোধী ও শয়তান দাবি করে সেতুর নিচে ফেলে দিয়েছিল।
এ ঘটনার কিছুদিন পরেই সে নিজেও একই সেতু থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অনেকেই তাই মনে করেন, ব্রিজটিতে আছে অশুভ কোনো শক্তির প্রভাব।
গবেষকরা মনে করেন, ঝাঁপ দেওয়ার এই প্রবণতাটি আসলে আত্মহত্যার ইচ্ছা নয়। ব্রিজটির আশপাশেই ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মিঙ্ক (বেঁজিজাতীয় প্রাণী) ও ইঁদুর।
রৌদ্রজ্জ্বল দিনে বাতাসে এসব প্রাণীর গন্ধ অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে যায়। কুকুরগুলো মিঙ্কের আর্কষণেই সেতুর দেওয়ালে চড়ে।
তারপর এর উচ্চতা কত তা বোঝার আগেই ঝাঁপ দেয়। তবে নির্দিষ্ট সেতুটির এক স্থান থেকেই কেন কুকুরগুলো লাফ দেয় তার কোনো যুক্তি নেই কারও কাছে।
ওভারটন সেতু এলাকাটা যে স্টেটের অধীনে, ওটার একসময়কার মালিক জন হোয়াইটের বিধাবা স্ত্রীর প্রেতাত্মাকে নিয়ে নানা ধরনের গল্প-গাঁথা প্রচলিত আছে এই অঞ্চলে।
কারো কারো মতে শ্বেতবসনা ওই নারীর আত্মাই কুকুরগুলোকে আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করে। তবে প্রাণী গবেষকরা এটা মানতে নারাজ। প্রকৃত কারণটি আজও অজানাই থেকে গেছে।