আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে পুরুষরা অনেকটা মেয়েদের মত মাথা ও মুখ ঢাকেন৷ শতাব্দী ধরে চলে আসছে এই প্রথা৷ সেসব দেশ নিয়েই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে।
লিবিয়া
আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমি ও সাহিল জোনে যাযাবর সম্প্রদায়ের তুয়ারেগ গোষ্ঠীর মানুষ পাগড়ি পরে কাপড়ে মুখ ঢাকেন৷ তবে কেবল সূর্যের তাপ বা বালি থেকে বাঁচা এর উদ্দেশ্য নয়। এভাবে মাথা ও মুখ ঢাকা এখানকার মানুষের জন্য সম্মানের অংশ৷
তুয়ারেগ পুরুষরাই কেবল পুরো মুখ ঢাকেন৷ তাদের বিশ্বাস, মরুভূমিতে চলাফেরার সময় মৃত আত্মাদের হাত থেকে এটি তাদের রক্ষা করে৷ ঐতিহ্যগত ভাবে তারা সাদা কাপড়ে নীল রঙ করে পাগড়ি পরেন৷ একারণে তাদের বলা হয় “মরুভূমির নীল মানব”৷
মরক্কো
মরক্কোর বর্বর উপজাতি পুরুষদের মাথার পাগড়ি ও মুখবন্ধকে প্রথাগতভাবে বলা হয় “তাগেলমুস্ট” বা “লিথাম”৷ তবে এরা বেশিরভাগ হলুদ লিথাম পরে৷ অতীতে লড়াইয়ের সময় বর্বররা এভাবে মাথা মুখ ঢেকে রাখলে তাদের সহজে চেনা যেত না৷
মিসর
তুয়ারেগ ও বর্বরদের মত বেদুঈনও মরুভূমির যাযাবর হিসেবে পরিচিত৷ প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েল ও মিসরের মাঝে আরব উপত্যকায় এদের বাস৷ ছবিতে দেখা এই পাগড়ি ও মুখবন্ধকে বলা হয় “কুফিয়া”৷ কোথাও কোথাও বলে “ঘুত্রা” বা “হাত্তা”৷ তবে এলাকা ভিত্তিতে এটা পরার ভঙ্গি ভিন্ন হয়৷
নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ার কানো রাজ্যে পুরুষেরা অনেকটা বোরকার মত করেই তাদের মাথা ও মুখ ঢাকেন৷
শাদ
শাদের উত্তরাঞ্চলে টুবু উপজাতির পুরুষরা মাথা মুখ ঢাকেন কাপড় দিয়ে৷ এই পুরুষরা নিজেদের ব্যবহৃত কাপড় নিজেরাই বুনে থাকেন৷ এরা পেশায় সাধারণত মেষপালক হন৷
