নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শুক্রবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, গেল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিবছর প্রাথমিক, কারিগরী, এবতেদায়ী ও সেকেন্ডারি মিলিয়ে প্রায় শিক্ষার্থীকে প্রায় ৩৫ কোটি বই দেই। অন্যবছর বই আগেই ছাপা শুরু হয়ে যায়। এ বছর সেকেন্ডোরি পর্যায়ের বই ছাপানোর কাজ চলছে। প্রাথমিক স্তরের বই ছাপানোর কাজ শুরু ৩ নভেম্বর থেকে।
বুধবার ২০২৩ সালের বিতরণ সংক্রান্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তকের গুণগতমান বজায় রাখতে চাই। সব ধরনের বাস্তবতা মেনে নিয়ে বই ছাপাতে চাই। ইতোমধ্যে ছাপাখানায় লোকদের এবং কাগজের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, কাগজের পাল্প যদি পাওয়া না যায় তাহলে সেকেন্ডারি পাল্প দিয়েই বই ছাপানো হবে। নির্ধারিত সময়ে বই দিতে না পারলে চুক্তিভুক্ত প্রেসগুলোকে কালো তালিকাসহ মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে সমাবেশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে নেতাকর্মীদের আটকে রাখা হতো। বিএনপি বিরোধী দল হওয়ার পরেও স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করছে।
তবে সভা সমাবশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। পরে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
এর আগে, জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন করা হয়।