ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতরা হলেন- উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামের মৃত শাহিদ শিকদারের ছেলে দেলোয়ার শিকদার (৫০) ও জিয়া শিকদার (৩৫)। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠান। এখন তারা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দেলোয়ার শিকদার অভিযোগ করে বলেন- প্রতিপক্ষের জব্বার খালাসী, সুজাদ খালাসী ও কাসেম খালাসী দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তারা সবাই সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থক। আমি টাকা দিতে রাজি না হলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় ওরা।

শুক্রবার রাতে হঠাৎ এসে তারা আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে বলে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তারা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে রামদা দিয়ে পায়ে কোপ দেয় ও আমার ভাই জিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলে।

তিনি আরও বলেন, শুধু আমাদের কুপিয়ে আর পিটিয়ে আহত করে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা। আমাদের ওপর হামলার পর হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে। আমাদের হাসপাতালেও নিতে দেয় না। পরে ওসি স্যার এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

দেলোয়ারের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম মোল্যা বলেন, কেউ কারো কাছে চাঁদা দাবি করেনি। এটা কোনো পরিকল্পিত ঘটনাও নয়। পাওনা টাকা চাওয়ার জেরধরে ঝামেলা হয়েছে। জব্বার খালাসী দেলোয়ারের ছেলে সাকিলের কাছে ৫ হাজার টাকা পাবে। সেই টাকা কয়েকবার চাইলেও ফেরত দেয়না সে। পরে বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলে মাত্র এক হাজার টাকা ফেরত দেয়। শুক্রবার রাতে বাকি টাকা চাওয়া নিয়ে জব্বার আর সাকিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দেলোয়ার আর জিয়া আহত হয়।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেই। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।