“বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমবায়ে উন্নয়ন” স্লোগান নিয়ে হবিগঞ্জে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়েছে। আজ হবিগঞ্জ টাউন হলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও হবিগঞ্জ সমবায় বিভাগ।
সকালে টাউন হলের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মিন্টু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহির। জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিজানুর রশিদ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাসনা হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমতাজুর রহমান ও বিটিভি জেলা প্রতিনিধি আলমগীর খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি আবু জাহির বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দেশে সমবায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সমবায়ের মাধ্যমে লোকজন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশও উপকৃত হয়। কিন্তু জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করার পর  দেশে সমবায় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। বর্তমান সরকার সমবায় আন্দোলনকে জোড়দার করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এখন এ সমবায়ের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পরে প্রধান অতিথি শ্রেষ্ট সমবায় সমিতিকে ক্রেস্ট ও সদন তুলে দেন। এ বছর জেলার শ্রেষ্ট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি হয়েছে লস্করপুর সমবায় সমিতি। শ্রেষ্ট সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির পুরস্কার পায় উত্তরা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি। সর্বোচ্চ সিডিএফ প্রদানকারী সমিতি হিসেবে পুরস্কার পায় রুপসী বাংলা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লি.।