উখিয়া থেকে আরসা কমান্ডার ছলিমসহ ৮ রোহিঙ্গা গ্রেফতার

তৌহিদুল ইসলাম
অক্টোবর ১২, ২০২১

Share Now

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের ব্লক রেইড অব্যাহত রয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গা থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার কথিত কমান্ডার ছলিম মাস্টারসহ আটজন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করার কথাও জনিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন ১৩ নম্বর ক্যাম্পের এনায়েত উল্লাহ (২০), নুর মোহাম্মদ (২৯) ও মো: আরিফ উল্লাহ (৩২), ১৯ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল আমিন (২৮), ১৪ নম্বর ক্যাম্পের রফিক (২১), ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো: রফিক (২৫) ও ফিরোজ মিয়া (২২) ও আরসার কমান্ডার মো: ছলিম মাস্টার (৩০)।

মঙ্গলবার সকালে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো: কামরান হোসেনের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি টিম ক্যাম্পে ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সংবাদের ভিত্তিতে জামতলী এপিবিএন ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ক্যাম্পের উল্লিখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন

অভিযানে পুলিশ কথিত আরসা কমান্ডার ছলিমসহ আট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি দা, হাসুয়া, শাবল, সিমকার্ড, মোবাইল ফোনসেট ও নোটবুক জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিসের সামনে থেকে দলনেতা আরসা কমান্ডার মো: ছলিম মাস্টারকে গ্রেফতার করে।

এপিবিএনের ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এনায়েত উল্লাহ, আব্দুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, রফিক, মো: আরিফ উল্লাহ ও মো: রফিক আরসার অন্যতম নেতা আনাসের ঘনিষ্ঠ সহচর ও আরসা সদস্য। ফিরোজ মিয়া চিহ্নিত মাদক কারবারি ও আরসার অন্যতম সদস্য, ছলিম মাস্টার আরসার স্থানীয় কমান্ডার। গ্রেফতারদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ অফিসে খুন হন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ কথিত আরসার সদস্যরা খুন করেছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেন। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন ও থানা পুলিশ নিয়মিত ব্লক রেইড দিয়ে আসছে। মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ইলিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এছাড়া ক্যাম্পগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত কথিত আরসা সদস্যসহ ৩০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।