রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে এক যৌনকর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই যৌনকর্মীর বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায়। সে ওই যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালা সুজন খন্দকারের কথিত স্ত্রী এবং সুজন খন্দকারের বাড়িতেই বসবাস করত।
জানা যায়, শনিবার সকালে ওই যৌনকর্মীর ঘর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে আসলে স্থানীয়রা ঘরে গিয়ে মেঝোতে তার গলাকাট মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থয়ে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই যৌনকর্মীর মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, কথিত সাংবাদিক সুজন খন্দকারের বাড়িওয়ালী হিসেবে তার মা ওই বাড়িতেই থাকত। গত রাতে সে প্রতিদিনের মত পাশের একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সকাল ৮টার দিকে তাকে স্থানীয়রা ডেকে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়। সে আরও জানায়, তার মায়ের সঙ্গে কারো কোন শত্রুতা ছিল বলে তার জানা নেই।
স্থানীয় একাধিক যৌনকর্মী জানায়, ঘটনার রাতে তার ঘরে বাড়িওয়ালা সুজন খন্দকার এসেছিল। সকালে তার ঘর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে আসলে স্থানীয়রা তার ঘরে গিয়ে মেঝেতে তার গলাকাট মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।