চট্টগ্রামে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার ৩

তাহানুল মারুফ
আগস্ট ২, ২০২১

Share Now

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় বোয়ালখালী পৌরসভার মীরপাড়া নুরজাহান ম্যানশনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার রাতেই ধর্ষিতা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পূর্ব গোমদন্ডী মীর পাড়া গ্রামের কামাল হোসেন প্রকাশ (৪২) , গিয়াস উদ্দিন (২৮) এবং রোকেয়া আক্তার (৩০)।

খবর পেয়ে রবিবার (১ আগষ্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক (পিপিএম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী অধিকারের এই প্রতিবেদকে বলেন, আমার ৭ মাসের কন্যা সন্তানটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার বিকালে আনুমানিক সাড়ে ৩টায় বোয়ালখালী উপজেলা সদরের হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মসি থেকে ঔষুধ কেনার জন্য যাই। ওই সময় আমি আমার পূর্বপরিচিত রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নেয়ার জন্য ফোন করি। রোকেয়া আমাকে তার বাসায় যেতে বলেন এবং রফিক নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তার বাসায় আমাকে নিয়ে যান। এ সময় কামাল ও গিয়াস রোকেয়ার বাসায় আসেন। তারা রোকেয়ার সহযোগিতায় আমাকে জোরপূর্বক নুর জাহান ম্যানসনের একটি খালি রুমের ভেতর নিয়ে যান।

সেখানে আমার মুঠোফোনটি কেড়ে নেয় কামাল। তাতে বাধা দিলে রোকেয়া আমাকে চড়থাপ্পড় মেরে রুম থেকে চলে যান এবং বাইরে থেকে দরজায় লক লাগিয়ে দেন। ওই সময় কামাল ও গিয়াস আমাকে রুমের ভেতর জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এ সময় আমার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির জনৈক সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। আমি দ্রুত বোয়ালখালী থানায় গিয়ে ওসি আব্দুল করিম-কে ঘটনা জানালে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজন পলাতক রয়েছেন। তাকেও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, নির্যাতিত মহিলার কথা শুনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি এবং অভিযুক্ত নারীসহ ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করি।

পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে, আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।