তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল বন্ধ

তৌহিদুল ইসলাম
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

Share Now

উজানের পানি নামতে শুরু করায় গত দুই দিনে পদ্মা-মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর স্রোত। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল।

এদিকে ফেরি চলাচলের বিঘ্ন হওয়ায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুর বাজার ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে ৪ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। অন্যদিকে এই নৌপথ পাড়ি দিতে অতিরিক্ত পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌ-পথে যানবাহন পারাপারের জন্য ৬টি ফেরি রয়েছে। মেঘনা নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় কিশোরী, কামিনী ও কস্তুরি ফেরিগুলো স্রোতের বিপরীতে চলাচল করতে পারছে না।

শরীয়তপুরের নরসিংহপুর থেকে ফেরিগুলো ৫ কিলোমিটার উজানে গিয়ে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছে। এতে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। ফেরি পারাপার অব্যাহত থাকলে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক গাড়ির জায়গায় ৩০০ গাড়ি পারাপার করতে হচ্ছে। ফলে ঘাটের উভয় পাড়েই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘাটে আটকে পড়া ট্রাকচালক লোকমান হোসেন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানজট। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট এখন বন্ধ থাকায় আমাদের দূর্ভোগ অনেক বেড়েছে। তাই নরসিংহপুর আলুবাজার ঘাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হই। এখানেও স্রোতের তীব্রতায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক নেই। ফলে সময় ঠিক রেখে গন্তব্যে যেতে পারছি না।

ঘাটের ইজারাদার ও চরসেনসাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য পদ্মা ও মেঘনা নদীর ফেরিঘাটগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ নৌপথে অনেক পুরাতন ও দুর্বল ফেরি চলাচল করে। ফলে বর্ষাকালে স্রোতের তীব্রতা বাড়লেই ফেরি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, স্রোতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যানবাহন পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। তবে স্রোতের তীব্রতা কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।