পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

তৌহিদুল ইসলাম
আগস্ট ৩১, ২০২১

Share Now

পুলিশের সার্জেন্ট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬। নারী নির্যাতন মামলায় পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদন ওপর শুনানির পর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

স্বামী-স্ত্রী দু’জনই পুলিশ সার্জেন্ট। কিন্তু স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে আবার বিয়ে- এমন সব অভিযোগ সার্জেন্ট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। নারী নির্যাতন ও প্রতারণার মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী সার্জেন্ট। অভিযোগের সত্যতা উঠে এসেছে পিবিআই’র তদন্তে।

গত বছরের ১ আগস্ট বিয়ে হয় সার্জেন্ট ওমর ফারুককে বিয়ে করেন আরেক নারী পুলিশ সার্জেন্ট। সে বিয়ে সুখের হয়নি। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর এবং এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা করেন ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। বিচ্ছেদ না হলেও ভুয়া তালাকনামা তৈরি করে আবারও বিয়ের অভিযোগও করেন, ওই নারী সার্জেন্ট।

বাদির আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমার মক্কেলের স্বামী ওমর ফারুক পরকীয়া ছাড়েননি বিয়ের পরও। উনি এসব অপকর্ম করতে গিয়ে বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন। তখন বাধ্য হয়েই বাদি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন। বিভিন্ন ধরণের দুর্ব্যবহার, টাকা-পয়সা নিয়ে নেয়ার মত কাজও করছিলেন ওমর ফারুক।

মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। তদন্তে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সব অভিযোগের সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তারা।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এই অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, এটা প্রমাণিত যে সে (ওমর ফারুক) নির্যাতন করেছে, যৌতুক দাবি করেছে। আমদের তদন্তে বাদির দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সার্জেন্ট ওমর ফারুক নির্যাতন করেছেন, যৌতুক চেয়েছেন এটি সত্য, তালাক না দিয়ে আবার বিয়ে করেছেন এটাও সত্য। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আদালতে। আগামী সপ্তাহে এর ওপর শুনানি হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ। ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সার্জেন্ট ন্যায়বিচার চান যে কোনো মূল্যে।

ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সার্জেন্ট ফোনে জানান, একজন আইনের লোক হয়ে এত বড় প্রতারণার শিকার হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। আমি অবশ্যই ন্যায় বিচার চাই।

এদিকে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে তালাকনামা জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। সেটির তদন্ত প্রতিবেদনও দেয়া হবে দ্রুত।