আজ মানিকগঞ্জ হানাদার মুক্ত

মোঃ আশিকুর রহমান
ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

Share Now

আজ মানিকগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্তিযোদ্ধারা মানিকগঞ্জকে মুক্ত করে বিজয়ীর বেশে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে সমবেত হন। এখানে আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল হক চাঁন মিয়ার সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধে ৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৯ জন মুক্তিসেনা পঙ্গু হয়ে যান।

দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২ টা ১ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে বিজয় মেলার মাঠে তোপধ্বনি ও মশাল প্রজ্জলনের মাধ্যমে শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আবদুল লতিফ,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন,পৌর মেয়র রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেলসহ মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন তারা দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও বর্তমান সরকার তাদের ভাতা বৃদ্ধি, আবাসন সহ নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। তারা আরও জানান মুক্তিযোদ্ধা ভবনের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের করব গুলো সংস্কারের অভাবে হারাতে বসেছে। এ সময় তারা তাদের কবরগুলো সংস্কারের দাবি জানান।

১৯৭১ সালে মানিকগঞ্জ সিঅ্যান্ডবির ডাকবাংলো পাক হানাদার বাহিনীর সদর দফতর ছিল। সেখান থেকেই হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা বাঙালি নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করত। মানিকগঞ্জের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধ। সিংগাইর থানার এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তোবারক হোসেন লুডু। গোলাইডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প দখলের জন্য তিন শতাধিক পাকসৈন্য ১০-১২টি নৌকা নিয়ে সেখানে আসে। এই খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন। শত্রুরা আয়ত্তের মধ্যে আসার পর দ্বিমুখী আক্রমণে একজন কর্নেলসহ ৮১ পাকসেনা মারা যায়।