হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু

তাহানুল মারুফ
আগস্ট ২৫, ২০২১

Share Now

হিলি প্রতিনিধি :

দেশের বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়ায় দীর্ঘ ৩ মাস ২৩ দিন বন্ধের পর পুণরায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় খুশি আমদানিকারকসহ বন্দর কতৃপক্ষ ও শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২৮ মেট্রিকটন টন চাল দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এর আমদানিকারক বগুড়ার মেসার্স রিত্তিক এন্ট্রারপ্রাইজ, যা ভারতের মারুটি ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান চালগুলো রফতানি করেছেন। 

চাল আমদানিকারক ললিত কেশেরা বলেন, চালের আমদানি শুল্ক কমানো ও বরাদ্দ দেওয়ায় আজ থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। পাইপলাইনে প্রচুর চাল বোঝাই ট্রাক রয়েছে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় এসব চাল দেশে প্রবেশ করলে চালের দাম কমে আসবে। তবে আমদানির সময় কিছুটা বাড়ানো হতো তাহলে সুবিধা হতো। যে সময়টা সরকার বেধে দিয়েছে এই সময়ের চাল ঢোকানো সম্ভব না একটি ট্রাক ঢুকতে এখন ৪০/৪৫ দিনের মতো সময় লাগছে। কিন্তু কম সময় নির্ধারণ করে দেওয়ায় ভারতীয় রফতানিকারকরা চাল বিক্রি করতে আগ্রহ করছে না, এই সময়টি বাড়ানো হলে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমানে চাল ঢুকবে। আজ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত চাল প্রতিটন ৪৫০ মার্কিন ডলার মুল্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। তবে কাস্টমস কত ডলার মুল্যে শুল্কায়ন করে সেটি দেখার বিষয় এর উপর চাল আমদানিতে পড়তা পড়বে কিনা বোঝা যাবে। 

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, সরকারের বরাদ্দ পাওয়া স্বাপেক্ষে আমরা চাল আমদানির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই আমরা এলসি খুলেছি। এর মধ্যেই ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা খাদ্যমন্ত্রনালয় থেকে প্রায় ৬০ হাজার টনের মতো চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আশা করছি আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই সেই সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশের বাজারে চাহীদা থাকায় ও এলসি হওয়ায় সকলেই চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে যার কারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের দামটা বাড়িয়ে দিয়েছে। আশাকরছি ভারতে চালের দাম কমে আসবে এতে করে দেশে ব্যাপক হারে চাল আমদানি শুরু হবে এতে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিক সাইদুল ইসলাম ও মিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকমাস বন্ধের পর পুণরায় বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের কাজ কর্ম যেমন বাড়বে তেমনি আয় বাড়বে। আগে যেখানে দিন ২’শ টাকা পেতাম এখন সেখানে ৫’শ টাকা পাবো, যার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে ডাল ভাত খেয়ে চলতে পারবো।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, চালের আমদানি শুল্ক বেশী থাকায় গত ৩০ এপ্রিল থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকার চালের আমদানি শুল্ককমানোর ফলে আজ বন্দর দিয়ে আবারো দীর্ঘ ৩মাস ২৩দিন পরে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে পুনরায় চাল আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয় বাড়বে। এসব চাল বাজারজাত হলে চালের দাম কমে আসবে ভোক্তারা কম দামে চাল কিনতে পারবে বলেও জানান তিনি।